গত ৭ জুন বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ ইম্পেরিয়াল হোটেলে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরী আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,হযরত হাফিজ্জী হুজুর রহ. ও আমীমুল ইহসান রহ. এর নাম রাস্তার ফলক থেকে মুছে দিয়ে অধর্মের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রতিস্থাপন করে মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরী বানানোর চক্রান্ত । দেশ ও জাতির চরিত্রকে নাস্তিক্যবাদে রুপান্তর করে, দেশ থেকে ইসলামী মূল্যবোধকে বিলীন করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই দেশে নাস্তিকায়ন প্রক্রিয়া বন্ধ,ইসলামি মূল্যবোধে উৎসাহ ও দেশে ইসলামী রাষ্ট্রের সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে এবং মাও. মাহবুবুর রহমান ও মুফতী আকরাম হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতীফ নেজামী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী,ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড.মাওলানা ঈসা শাহেদী,জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জনাব কাজী ফিরোজ রশিদ,বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব আলমগীর মহিউদ্দীন,মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী,জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব শেখ ফজলুল করিম কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর আমীর এটিএম হেমায়েত উদ্দীন,ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর ইমতিয়াজ আলম,খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর আলহাজ্ব আনীসুর রহমান জিন্নাহ,ইসলামী বুদ্ধিজীবি ফ্রন্টের আহবায়ক শাহ সূফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদী,নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মূসা বিন ইজহার,খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি শেখ গোলাম আসগর সহ ইসলামী নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবি ও শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন,জাতীয় পার্টি ইসলামের পক্ষের দল। শুক্রবারে ছুটির ব্যবস্থা,রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম জাতীয় পার্টির সরকারের আমলে হয়েছে। জাতীয় পার্টি মূর্তির বিপক্ষে কথা বলে এসেছে। সূপ্রীম কোর্ট থেকে মূর্তি সরাতেই হবে। আপনারা সকল ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধ হোন,জাতীয় পার্টি সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন,দেশকে মূর্তির দেশে পরিণত করতে দেওয়া হবে না। সূপ্রীম কোর্ট সহ দেশের কোথাও প্রকাশ্যে মূর্তি স্থাপন বরদাশত করা হবে না। গ্রীক দেবীমূর্তি নির্মূল করতেই হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাও.হামিদী বলেন,আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক মনোনীত জীবন ব্যবস্থা ইসলামে রয়েছে মানুষের পার্থিব ও পরকালীন জীবনের মুক্তি ও সমৃদ্ধির নিশ্চয়তা। রয়েছে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পরিবার,সমাজ,রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সকল পর্যায়ের সকল কাজের জন্য পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। এরই আলোকে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর খলীফাগণ এবং যুগে যুগে মুসলিম শাসকবৃন্দ দক্ষ হাতে শান্তি ও সমৃদ্ধিপূর্ণভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য নজীর স্থাপন করে গেছেন।














