Header Ads

This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Wednesday, June 7, 2017

ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই শান্তি-মানবতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব-খেলাফত আমীর

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ বলেছেন,  জুলুম-নির্যাতন,অন্যায়-অবিচার ও দ্রব্য মুল্যের উর্ধগতিতে দেশের জনগণ অতিষ্ঠ। বর্তমান সব সমস্যা দূর করে আদর্শ দেশ গঠনে আল্লাহ প্রদত্ব ঐশি বিধান খেলাফত শাসন ব্যবস্থার বিকল্প নেই। একমাত্র খেলাফত পদ্ধতির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই মারা-মারি,হানা-হানি ও রক্তপাত দূর করে দেশে শান্তি ও মানবতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব।  কুরআন-সুন্নাহর শাসন ছাড়া দেশে ইনসাফ কায়েম হবে না। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

গত ৭ জুন বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ ইম্পেরিয়াল হোটেলে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরী আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,হযরত হাফিজ্জী হুজুর রহ. ও আমীমুল ইহসান রহ. এর নাম রাস্তার ফলক থেকে মুছে দিয়ে অধর্মের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রতিস্থাপন করে মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরী বানানোর চক্রান্ত । দেশ ও জাতির চরিত্রকে নাস্তিক্যবাদে রুপান্তর করে, দেশ থেকে ইসলামী মূল্যবোধকে বিলীন করার ষড়যন্ত্র  চলছে। তাই দেশে নাস্তিকায়ন প্রক্রিয়া বন্ধ,ইসলামি মূল্যবোধে উৎসাহ ও দেশে ইসলামী রাষ্ট্রের সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে এবং মাও. মাহবুবুর রহমান ও মুফতী আকরাম হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন  ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতীফ নেজামী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী,ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড.মাওলানা ঈসা শাহেদী,জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জনাব কাজী ফিরোজ রশিদ,বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব আলমগীর মহিউদ্দীন,মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী,জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব শেখ ফজলুল করিম কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর আমীর এটিএম হেমায়েত উদ্দীন,ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর ইমতিয়াজ আলম,খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর আলহাজ্ব আনীসুর রহমান জিন্নাহ,ইসলামী বুদ্ধিজীবি ফ্রন্টের আহবায়ক শাহ সূফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদী,নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মূসা বিন ইজহার,খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি শেখ গোলাম আসগর সহ ইসলামী নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবি ও শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন,জাতীয় পার্টি ইসলামের পক্ষের দল। শুক্রবারে ছুটির ব্যবস্থা,রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম জাতীয় পার্টির সরকারের আমলে হয়েছে। জাতীয় পার্টি মূর্তির বিপক্ষে কথা বলে এসেছে। সূপ্রীম কোর্ট থেকে মূর্তি সরাতেই হবে। আপনারা সকল ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধ হোন,জাতীয় পার্টি সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন,দেশকে মূর্তির দেশে পরিণত করতে দেওয়া হবে না। সূপ্রীম কোর্ট সহ দেশের কোথাও প্রকাশ্যে মূর্তি স্থাপন বরদাশত করা হবে না। গ্রীক দেবীমূর্তি নির্মূল করতেই হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মাও.হামিদী বলেন,আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক মনোনীত জীবন ব্যবস্থা ইসলামে রয়েছে মানুষের পার্থিব ও পরকালীন জীবনের মুক্তি ও সমৃদ্ধির নিশ্চয়তা। রয়েছে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পরিবার,সমাজ,রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সকল পর্যায়ের সকল কাজের জন্য পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। এরই আলোকে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর খলীফাগণ এবং যুগে যুগে মুসলিম শাসকবৃন্দ দক্ষ হাতে শান্তি ও সমৃদ্ধিপূর্ণভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য নজীর স্থাপন করে গেছেন।

Tuesday, April 4, 2017

ইসলাম বিরোধী মঙ্গল শোভাযাত্রা বাতিল করুন-বাংলাদশে খেলাফত আন্দোলন


বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান,আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর বলেছেন, ইসলামে মঙ্গল শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ। কোন মুসলিম দেশের সরকার মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের উপর এ ইসলাম বিরোধী শোভাযাত্রা চাপিয়ে দিতে পারে না। এদেশের মুসলমানগণ সবকিছুর উর্ধ্বে তাদের ঈমান ও ইসলামকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে চাপিয়ে দেয়া এ ঈমান বিনষ্টকারী মঙ্গল শোভাযাত্রা ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা কখনো মেনে নেবে না। অন্যায়ভাবে ক্ষমতার জোরে বিধর্মীদের সংস্কৃতি মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দিলে তাওহিদী জনতা তা রুখে দাঁড়াবে। আশা করি সরকারের শুভ বুদ্ধি উদয় হবে। ঈমান বিধ্বংসী এই মঙ্গল শোভাযাত্রার সরকারী ঘোষণা বাতিল করে  ৯২% মুসলিম জনতার পাশে থাকবে।
৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরস্থ জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক জরুরী বৈঠক সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন,বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- দলের মহাসচবি মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী,নায়েবে আমীর মাওলানা মুজীবুর রহমান হামিদী,মুফতি ফখরুল ইসলাম,মাওলানা সানাউল্লাহ,মাওলানা সুলতান মহিউদ্দীন ও মাওলানা আকরাম হুসাইন প্রমুখ।
মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন,সাংস্কৃতির নামে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের পাঁতাজাল সারা বিশ্বে বিস্তৃত। তারা মুসলমানদের ঈমান-আকিদা নষ্টে সর্বদা তৎপর। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিবস ও সংস্কৃতির নামে তারা মুসলমাদের ঈমানের মত মহামূল্যবান সম্পদকে হরণ করে বেঈমান বানানোর অপচেষ্টা করছে । তাদের পাঁতাজাল থেকে নিজেদের ঈমান বাচাতে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।

Wednesday, March 29, 2017

ফরাসি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী প্রকাশ

Image may contain: 1 person, textস্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের ৪৭তম স্বাধীনতা দিবস ও বাংলাদেশ-ফ্রান্স কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫তম বার্ষিকীতে প্যারিস থেকে ফরাসি ভাষায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ফরাসিতে প্রকাশিত হওয়ার ফলে ফ্রান্সের পাঠকরা ছাড়াও ফ্রাঙ্কোফোনি বিশ্বের ফরাসি ভাষাভাষী বিশাল পাঠক সমাজ এই গ্রন্থের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। বাংলাদেশ থেকে বইটির ফরাসি সংস্করণ প্রকাশনার সকল কর্মকাÐ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হয়।
ফরাসি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জিংকো এডিটর বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ফরাসি সংস্করণ প্রকাশ করেছে। বইটি আজ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ ফ্রান্সের সর্ববৃহৎ বইমেলা ‘সালোন লিভর প্যারিস’-এ পরিবেশিত হয়েছে। এই বইমেলা ২৪ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বইটি ফরাসিতে অনুবাদ করেছেন প্রফেসর ফ্রান্স ভট্টাচারিয়া। প্যারিসে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওরিয়েন্টাল ল্যাঙ্গুয়েজেস এন্ড সিভিলাইজেশন্সের (ইনালকো) প্রফেসর এমেরিটাস মিসেস ফ্রান্স ভট্টাচারিয়া ইতোপূর্বে যোগাযোগ, নষ্ট নীড়, আনন্দমঠ, কপালকুন্ডলা, পথের পাঁচালী, মনসামঙ্গলকাব্যসহ বিভিন্ন বাংলা উপন্যাস ও কাব্যগ্রন্থ অনুবাদ করেছেন।
বইটির ফরাসি সংস্করণের পাদটীকা লিখেছেন ইনালকোতে বাংলা ভাষা ও সভ্যতার শিক্ষক জেরেমি কদ্রণ। বইটির প্রকাশনা, ভাষাগত পরিশুদ্ধতা ও সর্বাঙ্গীন সৌষ্ঠব নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ফরাসি রাষ্ট্রদূত সার্জ দেগালে, ইনালকোর বাংলা বিভাগের প্রধান ড. ফিলিপ বেনোয়া ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ফিলিপ রাত একযোগে কাজ করেছেন।
অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ফরাসি সংস্করণের উপক্রমনিকায় ফ্রান্সের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হুবার্ট ভেদ্রিন লিখেছেন, ‘ভাগ্য ফ্রান্স ও বাংলাদেশকে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে একে অপরের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে, ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিপক্ষে ফরাসিরা বাঙালির সঙ্গে ছিল। একজন ফরাসি সেনা অফিসার গোলন্দাজ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন। যুদ্ধে পরাজয়ে বাংলা হারায় স্বাধীনতা। প্রায় ২১৪ বছর পর শেখ মুজিবুর রহমানের হাত দিয়ে বাংলা তার স্বাধীনতা ফিরে পায়।’ ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫তম বার্ষিকীতে তার এই মূল্যায়ন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, হুবার্ট ভেদ্রিন ১৯৮৯ সালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরার বাংলাদেশ সফরে তার সফরসঙ্গী ছিলেন।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী ফ্যান্স সংস্করণের প্রকাশক মি. রেনালদ মন বইটির পাঠকপ্রিয়তা সম্পর্কে অত্যন্ত আশাবাদী। তার মতে, অসমাপ্ত আত্মজীবনীর সাহিত্যিক মান ও ঐতিহাসিক মূল্য বিবেচনায় বইটি ফ্রান্সের সাধারণ পাঠক সমাজ এবং ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের কাছে সমাদৃত হবে। বইটির প্রচার বৃদ্ধিতে এটি প্যারিস বইমেলা ছাড়াও জুনের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ‘এমেজিং ট্রাভেলার’ ও অক্টোবরে ‘দি মিটিং অব হিস্ট্রি’ নামক দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বইমেলায় পরিবেশন করা হবে। বিশেষ করে দি মিটিং অব হিস্ট্রি বইমেলায় অসমাপ্ত আত্মজীবনীর উপর ফরাসি ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের অংশগ্রহণে একটি সেমিনার আয়োজন করা হবে। এছাড়া সাধারণ পাঠকদের হাতে পৌঁছে দিতে বইটি চারটি বুক স্টলে রাখা হবে।
বঙ্গবন্ধু ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত কারাগারে বন্দী অবস্থায় এই অমূল্য দলিল রচনা করেন। তার লিখিত এই স্মৃতি কথা ২০১২ সালের ১৮ জুন বাংলায় অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও ইংরেজি অনুবাদে ‘আন ফিনিসড মেমোরিজ’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। বইটির প্রথম প্রকাশনার সার্বিক দায়িত্বপালন, তত্ত¡া¡বধান ও কার্যক্রম পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) বাংলা ও ইংরেজিতে বইটি প্রকাশ করে। বইটির প্রথম বাংলা সংস্করণে পৃষ্ঠা সংখ্যা হচ্ছে ৩২৪। মূল্য হচ্ছে পাঁচশত পঁচিশ টাকা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন সমর মজুমদার। একই সঙ্গে ভারতে পেঙ্গুইন বুকস ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস পাকিস্তান বইটি প্রকাশ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ফখরুল আলম বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।
বইটিতে বঙ্গবন্ধু তার বংশধর, জন্ম ও বাল্যজীবন, স্কুল ও কলেজ শিক্ষাসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার উল্লেখ করেন। এতে এই মহান নেতা কলকাতা ও বিহারে সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি, আগরতলা ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেছেন।

দৈনিক ইনকিলাব.২৭ মার্চ, ২০১৭

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের প্রথম খতীব মুফতী সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান বারকাতী (রহ.)

Image may contain: 1 person, textএস এম সাখাওয়াত হুসাইন

গতকাল ২৭ অক্টোবর ছিল জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের প্রথম খতীব (১৯৬৪-১৯৭৪) মুফতী সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান বারকাতী (রহ.)-এর ৪২তম ওফাত বার্ষিকী। ১৯৭৪ সালের এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। ১৯১১ সালের ২৪ জানুয়ারি (১৩২৯ হিজরি ২২ মুহাররম) সোমবার বিহার প্রদেশের মুঙ্গের জেলার অন্তর্গত পাঁচনা নামক গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতার নাম সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হাকিম আবদুল মান্নান (রহ.) এবং মা সৈয়দাসাজেদা। তিনি চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় ‘মুহাম্মাদ’ এবং লকব আমীমুল ইহসান। তার দাদা সাইয়্যেদ নূরুল হাফেয আল-কাদেরিও একজন কামেল সাধক ছিলেন। তিনি কোরআনুল কারীমে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। তিনি মাওলানা মোহাম্মদ আলী আল-কাদেরি আল মোজাদ্দেদী আল মুংগেরীর একজন খলিফা ছিলেন। তার বংশ-তালিকা ফাতেমা নবী মুহাম্মাদ পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে তার পূর্ব-পুরুষগণ নামের পূর্বে ‘সাইয়্যেদ’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। তিনি তাঁর পিতা ও চাচার নিকট থেকে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করেন। মাত্র তিন মাস সময়ের মধ্যে তাঁর চাচা সাইয়্যেদ আব্দুদ দাইয়্যানের (রহ.) নিকট হতে পূর্ণ ত্রিশ পারা কুরআন খতম করেন। এ সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর। তাঁর চাচা তাঁকে ফার্সি ভাষায় বিশেষ জ্ঞান দান করেন। মাত্র দু বছরের ব্যবধানে মুফতী সাহেব হযরত বারকাত আলী শাহ (রহ.)-এর নিকট থেকে আরবি ব্যাকরণের (মীজান মুন্শায়েব) প্রাথমিক জ্ঞান রপ্ত করেন এবং পাশাপাশি উচ্চতর ফার্সি সাহিত্য ও তাজবীদের প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করেন। মাত্র দশ বৎসর বয়সে তিনি হযরত সাইয়্যেদ বারকাত আলী শাহ নিকট কুরআন মাজীদের অনুবাদ, ইলমে সরফ, তফসীর, হেসনে হাসিন ও ফার্সি সাহিত্যের উচ্চতর গ্রন্থসমূহ অধ্যয়ন করেন। ১৯২৬ সালে পনের বছর বয়সে মুফতী সাহেব কলকাতা আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হন। তিনি ১৯২৯ সালে আলিম পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন, হাদীস বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। ১৯৩১ সালে ফাযিল ও ১৯৩৩ সালে কামিল (হাদীস) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন এবং “মুমতাজুল মুহাদ্দিসিন” উপাধি প্রাপ্ত হন। ১৯৩৪ সালে তিনি তাঁর শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ মাওলানা মুফতী মুশতাক আহমেদ কানপুরী (রহ.) সাহেব এর নিকট থেকে ‘মুফতী’ সনদ লাভ করেন। তখন থেকে তিনি ‘মুফতী’ খেতাবে আখ্যায়িত হন।
কর্মজীবন : ১৯২৭ সালে পিতার ইন্তেকালের পর ছোট ভাই বোনের লালন-পালন ও শিক্ষার দায়িত্ব, পিতার চিকিৎসালয় ও পারিবারিক প্রেস পরিচালনা, গৃহ সংলগ্ন (জালুয়াটুলীস্থ) মসজিদের ইমামতির দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত হয়। ১৯৩৪ সালে তাঁকে কলকাতার বৃহত্তর জামে মসজিদ “নাখোদা মসজিদ”-এর সহকারী ইমাম ও মাদরাসার প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োাগ দেয়া হয়। ১৯৩৫ সালে ‘নাখোদা মসজিদ’ এর মাদরাসার দারুল ইফতার প্রধান মুফতীর দায়িত্ব দেয়া হয়। এ সময় তিনি ধর্মীয় ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে প্রায় লক্ষাধিক ফাতওয়া প্রদান করেন। ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত তিনি নাখোদা মসজিদের ও দারুল ইফতার দায়িত্ব প্রশংসনীয়ভাবে পালন করেন। এইজন্য ১৯৩৫ সালে কলকাতা সরকার তাকে একটি বিশেষ সীলমোহর প্রদান করে যাতে লেখা ছিল গ্রান্ড মুফতী অফ কলকাতা। তখন থেকে তিনি মুফতী-এ-আযম উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ সরকার মুফতী আমীমুল ইহসানকে মধ্য কলকাতার কাজী পদে নিয়োাগ দেন। ১৯৪৩ সালে মাদরাসা-ই আলিয়ায় অধ্যাপনার কাজে যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত তিনি এইসব কাজ যথারীতি পালন করেন। ১৯৪০ সালে তিনি আঞ্জুমানে কুররায়ে বাংলার (বাংলার ক্বারী সমিতি) সভাপতি নিযুক্ত হন।
১৯৪৩ সালে তিনি কলকাতা আলিয়া মাদরাসার শিক্ষকতার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৪৩ সাল থেকে ভারত বিভাগ (১৯৪৭) পর্যন্ত টাইটেল কামিল ক্লাসে হাদীস, তাফসীর, ফিকাহ এবং ফাযিল শ্রেণীতে উর্দু-ফার্সি শিক্ষা দিতেন। ১৯৪৭ সালে আলিয়া মাদরাসা ঢাকায় স্থানান্তরিত হলে তিনি পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। ১৯৪৯ সালে তৎকালীন সরকার তাকে ধর্মীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত করেন। ১৯৫৫ সালে আলিয়া মাদরাসার হেড মাওলানা, মাওলানা জাফর আহমদ উসমানী অবসর গ্রহণের পর মুফতী আমীমুল ইহসান অস্থায়ীভাবে সেই পদে নিয়োগ পান। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত স্থায়ীভাবে সেই পদে নিযুক্ত ছিলেন। আলিয়া মাদরাসায় কর্মরত অধ্যাপক হিসাবে তিনি ব্যাখ্যাসহ বুখারি শরিফ পড়াতেন। ১৯৬৯ সালের ১ অক্টোবর উক্ত পদ হতে অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৫৫ সালে আলিয়া মাদরাসায় হেড মাওলানার পদে উন্নীত হবার পর তৎকালীন ঢাকার প্রধান ঈদগাহ পুরানা পল্টন ময়দানে ঈদের জামাতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং কয়েক বছর পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ সালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রতিষ্ঠার পর তৎকালীন কমিটির চেয়ারম্যান ইয়াহিয় বাওয়ানীর অনুরোধে এবং মসজিদ কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে মসজিদের খতীব এর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত এই দায়িত্ব কৃতিত্ব সাথে পালন করেন। তিনি প্রতি শুক্রবার সেখানে জুমার নামাজ পডতেন এবং আরবিতে স্বরচিত খুৎবা পড়তেন। খুৎবার বঙ্গানুবাদ পূর্বেই শ্রোতাদেরকে শোনানো হতো। অভিনব পদ্ধতিতে অনর্গল বিশুদ্ধ আরবি ভাষায় তাঁর খুৎবা প্রদানের অপূর্ব দৃষ্টান্ত ছিল বিরল। আরব দেশ থেকে আগত অনেক উচ্চশিক্ষিত আলেম ও রাষ্ট্রনায়ক তাঁর খুৎবা শুনে আবেগাপ্লুত হতেন।
তিনি ২০০-এর অধিক গ্রন্থ রচনা করেন। নিচে তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু কিতাবের নামের তালিকা দেয়া হল। ইলমে তফসীর এবং উসূলে তফসীর ইতহাফুল আশরাফ বি হাশিয়াতিল কাশশাফ, আল ইহসানুস সারী বিত তাওযিহ ই তাফসিরই সহীহিল বুখারী, আত তানবীর ফি উসূলিত তাফসির আত-তাবশীর ফি শরহিত তানবীর ফি উসূলিত তাফসির, ইলমে হাদীস এবং উসূলে হাদীস, মীযানুল আখবার, আল ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার, মানাহিজুস সুআদা, উমদাতুল মাযানী বি তাখরিজে আহাদীস মাকাতিবুল ইমামুর রাব্বানী, আল আরবাঈন ফিস্ সালাতআল-আরবাঈন ফিল মাওয়াকিত, আল আরবাঈন ফিস্ সালাতি আলান নবী (সা.), জামে জাওয়ামেউল কালাম, কানযুল উম্মাল, মুকাদ্দামায়ে সুনানে আবু দাউদ, মুকাদ্দামায়ে মারাসিলে আবু দাউদ, লাইল ওয়ান নাহার, মীযানুল আখবার, মিয়ারুল আসার, হাশিয়ায়ুস সাদী, তোহফাতলি আখিয়ার, তালিকাতুল বারকতী, তালখীসুল মারাসিল, আসমাউল মুদিল্লীন ওয়াল মুখতালিতীন, কিতাবুল ওয়ায়েযীন, মিন্নাতুল বারী, ইলমে ফিকহ এবং উসূলে ফিকহ তরীকায়ে হজ্জ, ফাতাওয়ায়ে বারকাতীয়া, তরীকায়ে হজ্জ, আল কুরবাহ ফিল কুরা, হাদিয়াতুল মুসাল্লীন, আত¦নবীহ লীল ফকীহ, লুববুল উসূল, মালাবুদ্দা লিল ফকীহ, আত-তারীফাতুল ফিকহিয়্যাহ, উসূলুল কারখী, উসূলুল মাসায়েলীল খিলাফিয়্যাহ, কাওয়ায়েদুল ফিকহ, আদাবুল মুফতী, তুহফাতুল বারকাতী বি-শরহে আদাবুল মুফতী; সীরাত গ্রন্থ : আওজায়ুুস সিয়ার, আনফাউস সিয়ার, সীরাতে হাবিবে ইলাহ রেসালা-হায়াতে আবদুস সালাম, ইলমে তাসাওউফ, রেসালায়ে তরীকাত, আততাশাররুফ লি আদাবিত তাসাওউফ, তারীখ (ইতিহাস), তারীখে ইসলাম, তারিখে আম্বিয়া, তারিখে ইলমে হাদীস, তারীখে ইলমে ফেকাহ, আল হাভী ফি যিকরিত তাহাভী, তারিফুল ফুনুন ওয়া হালাতে মুসান্নেফিন, নাফয়ে আমীমইলমে নাহু ও শরফ (ব্যাকরণবিদ্যা), মুকাদ্দমাতুন নাহু, নাহু ফারসী, ওয়াজ ও মিলাদ, মজুমায়ে খুতবাত, মজুমায়ে ওয়াজ, ওয়াজিফায়ে সাদিয়া বারকাতীয়া, শাজারা শরীফা, সিরাজাম মুনীরা ও মিলাদ নামা; উর্দু সাহিত্য : আদবে উর্দু, শরহে শিকওায়াহ ওয়া জওয়াাবে শিকওয়াহ।
তাঁর অনেক গ্রন্থ মাদরাসার পাঠ্য তালিকাভুক্ত। প্রধান কিতাবসমূহ যেমনÑ ফিকহুস সুনানে ওয়াল আসার, সীরাতে হাবিবে ইলাহ, তারীখে ইলমে ফিকাহ, তারীখে ইসলাম, তারীখে ইলমে হাদীস, আদাবুল মুফতী, কাওয়াাযয়েদুল ফিকাহ, মীযানুল আখবার, মিয়ারুল আসার প্রভৃতি মিসরের জামে আল আজহার, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দসহ, পাকিস্তান সিরিয়া, মিসর ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সকল কওমী, আলিয়া মাদরাসাগুলোতে পাঠ্যবই হিসাবে পড়ানো হয়। এছাড়াও তার রচিত “কিতাবুল আওকাত”-এর উপর ভিত্তি করেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ তাঁর রচিত নামাজের সময়সূচি অনুযায়ী বর্তমানে সারা বাংলাদেশে নামাজের স্থায়ী সময় ও ওয়াক্ত নির্ধারণ করা হয়। ইসলামের সেবা ও দাওয়াতি কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে তাকে মরণোত্তর স্বর্ণপদক ও সনদ প্রদান করেন। হযরত মুফতী সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান বারকতী ১৯৭৪ সালের ২৭ অক্টোবর (১৩৯৫ হিজরির ১০ শাওয়াল) ইন্তেকাল করেন। ৬০নং তনুগঞ্জ লেনে অবস্থিত কলুটোলা মসজিদের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

লেখক : সাংবাদিক

বাংলাদেশ আলেম মুক্তিযোদ্ধাগন


ইলিয়াছ আহমদ বাবুল

জালেমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ,মজলুমের পক্ষে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ মূখর হয়ে উঠা সকল ধর্ম ও শ্রেষ্ঠ মতাদর্শ গুলোর প্রাণ কথা। আর ইসলাম তো এ ব্যাপারে শত ভাগ আপোষহীন। তাই ইসলামের সত্য,সুন্দর এবং মানবতা ও শান্তির ধারক বাহক উলামায়ে-কেরাম সব সময় জালেমের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে আপোষহীন থেকে মানব সমাজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। সম্্রাজ্যবাদী বৃটিশ বেনিয়াদের জুলুমে যখন আক্রান্ত উপমহাদেশ,তখন উলামায়ে কেরামের কণ্ঠ চিরেই সর্ব প্রথম ইংরেজ খেদাও আন্দোলনের সংগ্রামী ডাক এসেছিল। ভারত উপমহাদেশ এখন ‘দারুল হারব’ শত্রু কবলিত,এ এক ফতোয়া টলিয়ে দিয়েছিল ইংরেজদের মসনদ। এ সবই ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সম্্রাজ্যবাদের দোসর ইসলাম বিদ্ধেষী কুচক্রি মহল যা ছাই চাপা দিয়েও চেপে রাখতে পারেনি।
পাকিস্তানিদের দ্বারা পূর্ব পাকিস্তান তথা আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের নিরীহ মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল নির্মম ভাবে। তখন পাক জালিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন এই দেশের লড়াকু আমজনতার সঙ্গে তৎকালীন আলেম সমাজও। প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিলেন দুর্বার গতিতে। এটা ইতিহাসের অবিসংবাদিত সত্য ও অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। স্বাধীনতার পর ৪৪ বছর পর্যন্ত এই সত্যকে পদদলিত করা হয়েছে। ইতিহাসের পবিত্র দেহকে করা হয়েছে ক্ষতবিক্ষত। আলেম সমাজ সহ সাধারণ জনগণ যারা ধর্মের কারণে দাড়ি,টুপি ব্যবহার করে তাদের গায়েও ঢালাও ভাবে সেঁটে দেয়া হয়েছে রাজাকার,আল-বদর ও আল-সামসের অভিশপ্ত ফলক। তারা প্রজন্ম ৭১-এর পরে জন্ম হলেও!
জনপ্রিয় লেখক সাংবাদিক শাকের হুসাইন শিবলী ইতিহাসের অনির্বায্য সত্যকে স্ব-মহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। উন্মোচিত করেছেন চেপে রাখা এক অধ্যায়ের। এ জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি শহর,গ্রাম ঘুরে বেড়িয়ে কষ্টিপাথরে যাচাই করে রচনা করেছেন একটি প্রামান্য গ্রন্থ ‘আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে’ উক্ত গ্রন্থ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অংশ গ্রহণ কারী কয়েক জন আলেম মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ করা হল। যাতে আলেম সমাজ সম্পর্কে সৃষ্ট ভূল ধারনার অবসান ঘটে।
১/ মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসেনানী মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী (টাঙ্গাইল) ২/ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মোহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (নোয়াখালী) ৩/ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশ্রাফ (ঢাকা) ৪/ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ ৫/ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বু্িদ্ধজীবি মাওলানা অলিউর রহমান ৬/ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী (সিলেট) ৭/ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী (সিলেট) ৮/ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আব্দুর রহমান (কুমিল্লা) ৯/ হাতিয়া দ্বীপের সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মুস্তাফির রহমান (হাতিয়া দ্বীপ) ১০/ মুক্তিযুদ্ধে অকুতোভয় সৈনিক মুহাদ্দিস আব্দুস সোবহান ১১/ মুক্তিযোদ্ধা মুফতি আব্দুস সালাম (চট্টগ্রাম) ১২/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আবু ইসহাক ১৩/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আবুল কালাম ১৪/ মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী আব্দুল মালেক (পটিয়া) ১৫/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা দলিলুর রহমান (চন্দ্র কোনা) ১৬/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মতিউর--রাসুল (রানীর হাট) ১৭/ সাহসী বীর গেরিলা কমান্ডার মাওলানা মৌলভী সৈয়দ (চট্রলা) ১৮/ মুক্তিযোদ্ধা আল্লামা দানেশ (পটিয়া) ১৯/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা নোমান আহমদ ২০/ মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী মোঃ মকসুদ আহমদ ২১/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আব্দুল মতিন মজুমদার (কুমিল্লা) ২২/ মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী নুরুল আফসার (ফেনী) ২৩/ মুক্তিযোদ্ধা নানু ক্বারী (কুমিল্লা) ২৪/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা কাজী আব্দুল মতিন (চাঁদপুর) ২৫/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মতিউর রহমান (নারায়ণগঞ্জ) ২৬/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মির্জা মোঃ নূরুল হক (নারায়ণগঞ্জ) ২৭/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আলিফুর রহমান (রংপুর) ২৮/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ক্বারী আব্দুস সালাম সরকার (রংপুর) ২৯/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মোহাম্মদ আলী ৩০/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মাহতাফ উদ্দিন (কুড়িগ্রাম) ৩১/ সেক্টর কমান্ডার মাওলানা সামসুল হুদা (কুড়িগ্রাম) ৩২/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আমজাদ হোসেন (কুড়িগ্রাম) ৩৩/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা কামরুজ্জামান (নরসিংদী) ৩৪/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা বশির উদ্দিন (টাঙ্গাইল) ৩৫/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা বজলুর রহমান ৩৬/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মাহমুদুল হাসান (ময়মনসিংহ) ৩৭/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা কাজী মুতাসিম বিল্লাহ ৩৮/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা সাইফুল মালেক সাহেব (জামালপুর) ৩৯/ মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী খাঁন (চরমোনাই মাদ্রাসা) ৪০/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ইউসুফ ৪১/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ইসহাক রহঃ (চরমোনাই) ৪২/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মৌলভী মির্জা আব্দুল হামিদ (বরিশাল) ৪৩/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মুখলিসুর রহমান (চান্দিনা) ৪৪/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা লোকমান আহমেদ আমিনী ৪৫/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মোঃ ফিরোজ আহমদ (নোয়াখালী) ৪৬/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা উসমান গণি (নোয়াখালী) ৪৭/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আব্দুল আউয়াল (চাঁদপুর) ৪৮/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আতাউর রহমান খাঁন (কিশোরগঞ্জ) ৪৯/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আতাহার আলী রহঃ (কিশোরগঞ্জ) ৫০/ মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী আব্দুস সোবহান (চট্টগ্রাম) ৫১/ মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু ইউসুফ (চট্টগ্রাম) ৫২/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ফজলুল হক (নূর নগরী) ৫৩/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা খায়রুল ইসলাম (যশোর) ৫৪/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মহিউদ্দিন (ময়মনসিংহ) ৫৫/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ক্বারী আব্দুল খালেক সাহেব ৫৬/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা সামসুদ্দিন কাশেমী (ঢাকা) ৫৭/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা জহিরুল হক (বি-বাড়ীয়া) ৫৮/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ইসহাক ওবায়দী (নোয়াখালী) ৫৯/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মুফতি নূরুল্লাহ রহঃ (বি-বাড়ীয়া) ৬০/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মিরাজ রহমান (যশোর) ৬১/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আলী (শরীয়তপুর) ৬২/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা এমদাদুল হক আড়াই হাজারী (চট্টগ্রাম) ৬৩/ মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ (কিশোরগঞ্জ) ৬৪/ মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী (মোমেন শাহী)।
আমাদের আলেম সমাজ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে দেশকে শত্রুমূক্ত করেছিলেন এবং এটা যে সূর্যালোকের ন্যায় স্পষ্ট তার কিঞ্চিত নমুনা পেশ করা হল মাত্র। বিস্তারিত জানতে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস গুলো অধ্যায়ন করুন।

তথ্য সূত্রঃ-স্মৃতির পাতায় হাফেজ্জী